অনলাইন ডেস্কঃ
গত বছর(২০২২) জুড়েই ডলার সংকটের কারণে অর্থনীতি চাপের মধ্যে । বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মূল দুই উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স এবং পণ্য রপ্তানি। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দুটি উৎস থেকেই গত বছরের শেষ দিকে বৈদেশিক মুদ্রা আসা অনেকটা কমে গিয়েছে এবং পরে তা ঘুরেও দাঁড়ায়।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সোমবার রপ্তানি আয়ের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত জুনে ৫০৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের জুনের তুলনায় এই চলতি বছরের জুনের রপ্তানি ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।
ইপিবির তথ্য গুলো বিশ্লেষণ করে জানা যায়, গত অর্থবছরে তৈরি পোশাক, প্লাস্টিক পণ্য এবং চামড়াবিহীন জুতার রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে। অপরদিকে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট এবং পাটজাত পণ্য, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল ও প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি কমেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, গত অর্থবছরে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ বেশি। তৈরি পোশাকের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি হয়েছে ১২২ কোটি ডলার এর।
এক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে প্রায় ২ শতাংশের কাছাকাছি। তাছাড়া, ফুটওয়্যারে ৬ দশমিক ৬১ শতাংশ, ম্যান মেইড ফাইবারে ৪২ দশমিক ৯৮ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ২৬ দশমিক ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।অপরদিকে, পাটজাত পণ্যে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ, কৃষি পণ্যে ২৭ দশমিক ৪৭ ও হিমায়িত মাছে ২০ দশমিক ৭৬ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
Leave a Reply